ইমরান উজ-জামান
মেলা সেই অনুসঙ্গ যাতে একত্রিত হয় ধনী-গরীব, কালো-ধলো, নম-শুদ্র, আশ্রাফ-আত্রাফ, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, ছোট-বড় আর জাত-অজাত।
বাংলাদেশে বর্ষবরণের মূল আয়োজন মূলত ঢাকার রমনা পাকের বটমূলকে ঘিরে। ছায়ানট রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উৎসব পালনের আয়োজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসো হে বৈশাখ……এসো , এসো….গানের মাধ্যমে তারা স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। ১৯৭২ সালের পর থেকে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ জাতীয় উৎসবের স্বীকৃতি পায়। ১৯৮০ সালে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এক ধাপ বাড়তি ছোঁয়া পায় বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান। ১৯৮৯ সালে এই শোভাযাত্রার প্রচলন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পহেলা বৈশাখের দিন সকাল গড়িয়ে যখন রমনা টি.এস.সি শাহবাগে মানুষের উপচে পরা ভিড় থাকে, তখন শুরু হয় মঙ্গলশোভা যাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এখানে পশু পাখির মুখাকৃতির ছবিসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের নানা অনুসঙ্গকে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা রং বেরং-এর মুখোশ ও আলপনার মাধ্যমে। ছেলে বুড়ো সবাই মেতে ওঠে বর্ষবরণের মঙ্গলশোভা যাত্রার আনন্দে। তবে প্রতি বছর মঙ্গল শোভাযাত্রায় একটি থিম শ্লোগান রাখা হয়, যা সমাজের সমসাময়িক সময়কে ধরে, কবি-সাহিত্যিকদের কবিতার পক্তি ব্যবহার করা হয়।
বৈশাখ মেলার মাস। বাংলা একাডেমির এক হিসাবে কেবল বৈশাখ মাসেই সারা বাংলাদেশে মেলা বসে ২শ ৪৫টি। আর দেশের বিভিন্ন স্থানে শুধু বৈশাখকে উপলক্ষ করে বসা মেলার সংখ্যা ১শ ৮০টি। অন্যান্যগুলো বার্ষিক ওরস ও ¯œান মেলা। আর আছে কালিপূজা উপলক্ষে মেলা। তবে প্রকৃতপক্ষে এই মেলার সংখ্যা দাড়াবে ৫শ’র বেশি। স্মরনকালে প্রবর্তিত হলেও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন আয়োজিত মেলা এখন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। এছাড়া প্রতি জেলা শহরেই বৈশাখি মেলা বসে, অনেক জায়গায় আবার চৈত্র সংক্রান্তি থেকেই শুরু হয় মেলা ।
বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক, সার্বজনীন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ, বর্ষবরণের দিন, শুভ নববর্ষ। রমনার বটমূল থেকে পুরো ঢাকা হয়ে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে ঘটা করে নববর্ষ পালনের সংস্কৃতি। শুধু গ্রাম নয় শহর উপশহর রাজধানীর ঢাকারও বিভিন্ন অলিগলিতে বসে বৈশাখি মেলা। পান্তা- ইলিশ, বাঁশি, ঢাক-ঢোলের বাজনায় আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় পূর্নতা পায় বাঙালির এ উৎসব মুখরতা।
হিন্দু সৌর পঞ্জিকামতে, আগে থেকেই পালিত হয়ে আসছে বাংলায় বারোমাস। কিন্তু গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় দেখা যায়, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় এই সৌর বছর গণনা শুরু হত। ভারত বর্ষে মোঘল সা¤্রাজ্য শুরুর পর থেকে আরবী বছর হিজরী পঞ্জিকা অনুযায়ী তারা কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরী সাল চাঁদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কৃষি ফলনের সাথে এর কোন মিল পাওয়া যেত না। যার কারনে স¤্রাট আকবর এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ আমীর ফতেহউল্লাহ সিরাজীর উপর নতুন বাংলা সনের প্রবর্তনের দায়িত্ব দেন। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ই মার্চ বা ১১ ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গননা পদ্ধতিকে কার্যকর ধরা হয় স¤্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহনের তারিখ ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর থেকে। প্রথমে এর নাম ফসলি সন বলা হলেও পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিতি পায়।
সেই অর্থে জৈষ্ঠ্য মাসে মেলা খুবই কম। কারন এই মাসকে মধু মাস বলা হয়, ঘরে ঘরে থাকে মধু ফলের উদযাপন। আম-কাঠাল সহযোগে ঘরে ঘরে নতুন জামাই সমাদরের ধুম পরে। মেলা এই মাসে মূলত ঘরে ঘরে।
একসময় শুধু গ্রাম গঞ্জে মেলা বসলেও এখন এর পরিধি ছড়িয়েছে সর্বত্র। তবে গ্রাম আর শহুরে মেলায় পার্থক্য বেশ। স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য কারুপণ্য, লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সকল প্রকার হস্ত শিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী উপস্থিত করার রেওয়াজ রয়েছে। এছাড়া শিশু-কিশোরদের খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রী। থাকে সাপের খেলা, বাঁশ-বেতের তৈজষ, মাটির খেলনা-হাড়ি-পাতিল আর নানা জাতের খেলার সামগ্রী, নারকেল মুড়ি-মুড়কিসহ হাজারো পদ থাকে মেলায়। মেলা উপলক্ষে বসে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর। যাত্রা, পালাগান, কবিগান, জারিগান, গম্ভীরাগান, গাজীর গানসহ বিভিন্ন ধরনের লোকসংগীত, বাউল-মারফতি-মুর্শিদি-ভাটিয়ালী। থাকে আঞ্চলিক গান পরিবেশনের আয়োজন। লাইলী-মজনু, ইউসুফ-জুলেখা, রাধা-কৃষ্ণ প্রভৃতি আখ্যানও উপস্থাপিত হয়। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাটক, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, সার্কাস বৈশাখী মেলার বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়া শিশু-কিশোরদের আকর্ষণের জন্য থাকে বায়োস্কোপ। শহরাঞ্চলে নগর সংস্কৃতির আমেজে এখনও বৈশাখী মেলা বসে এবং এই মেলা বাঙালীদের কাছে এক আনাবিল আনন্দের মেলায় পরিণত হয়। বৈশাখী মেলা বাঙালীর আনন্দঘন লোকায়ত সংস্কৃতির ধারক।
বিখ্যাত সব বৈশাখি মেলার মধ্যে-নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, রংপুরের পায়রাবন্দ, দিনাজপুরের ফুলছুড়ি ঘাট এলাকা, মহাস্থানগড়, কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মহেশপুর, খুলনার সাতগাছি, ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল অঞ্চল, সিলেটের জাফলং, মণিপুর, বরিশালের ব্যাসকাঠি-বাটনাতলা, গোপলগঞ্জ, মাদারীপুর, টুঙ্গিপারা, মুজিবনগরের বৈশাখি মেলা অন্যতম।
চট্টগ্রামে লালদীঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় জব্বারের বলি খেলা। পার্বত্য এলাকার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন ভাবে বছরের শুরুটা পালন করে। যেমন চাকমা’রা বিজু, মারমা’রা সাংরাইং, ত্রিপুরা’রা বৈসু, তঞ্চঙ্গাদের বিষু। সব মিলিয়ে এক সঙ্গে বলা হয় বৈসাবি। রাঙামাটিতে বৈসাবিকে উপলক্ষ করে মেলার হাট বসে। র্যালি, জলকেলি, বলি খেলা আরো কত কি। বৈশাবির প্রধান আকর্ষন পানি খেলা। নৌকার মধ্যে বোঝাই পানি থাকে। নৌকার দুই পাশে ছেলে এবং মেয়ের দল দাড়িয়ে পানি ছোড়াছুড়ি করে। এই খেলাকে জলকেলি বলে।
তবে রাঙামাটির জেলেপাড়ায় বসে ভিন্ন রকমের আয়োজন। নতুন এবং পুরনো জেলে পাড়া মিলে দুই গ্রাম জেলে। হিন্দু অধ্যুসিত দুই গ্রামে বৈশাখ মাসের প্রথম দিন পাঁচন উৎসব হয়। বাঙালির নববর্ষের আদলে এই পাঁচন উৎসব। সকাল থেকেই পাড়ার বৌ-ঁিঝ’রা ঘাটে ভীর করে বড় হাঁড়ি বা গামলা নিয়ে। যার মধ্যে থাকে হরেক প্রকারের সবজি যা লেকের পানিতে পরিষ্কার করতে নিয়ে আসেন তারা। আর অন্য হাতে থাকে ছোট মাটির হাঁড়ি যার মধ্যে থাকে ফুল। এই ফুল স্থলে ফেলা যাবে না। তাহলে অনিষ্ঠ হবে। ফেলতে হবে পানিতে। পুজার ফুল পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে, গোসল করে পবিত্র হয়ে তার পরে পাঁচনের কাঁটা সবজি গুলো ধুয়ে নিয়ে বাড়ী ফিরেন পাঁচন রান্নায় বসেন। রান্নার পদে থকে ১০৮ টি সবজি। ছোট ছোট মেহমানরা মহানন্দে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পাঁচন খাচ্ছেন। পাঁচন খাওয়া শেষ হলে খই,মুড়ি-মুড়কি পলিথিনে নিয়ে তারা বাড়ি ছারছে। প্রত্যেকের হাতে একটি করে পলিথিনের পুটলি। পুটলিতে বাড়ি বাড়ি থেকে জমানো এইসব মুড়ি-মুড়কি। আর ঘরে ঘরে চলছে দেবতাকে তুষ্ট করার নানা আয়োজন। নিতাই মালির ঘরে বসেছে কীর্তনের আসর। মধুবালা দেবী মন্দিরা হাতে তান ধরেছেন। আর প্রিয়বালা ১৬ রকমের ফল ঝরো করেছেন দেবতার সামনে। প্রত্যেক ঘরের দরজায় সুতায় বেধে টানিয়ে দেয়া হয়েছে কিছু ফুল। প্রায় সবই বনফুল। তাদের পুঁজার বেদি কিন্তু খুবই সাধারন। কোন বাড়িতে একটা খুটির মাথায় কাঠের চারকোনাকৃতি ছোট ঘরে ফুল দিয়ে। কোথাও খুটির উপরে ড্রাম রেখে তার ভেতরে। কোথাও আবার শুধুই ঘরের সামনের খালি জায়গায় মাটিতে লেপে আল্পনা একে সেখানে প্লেটে পাঁচন আর পাশে ফুল রেখে চলে দেবতাকে তুষ্ট করার কাজ। সারা গ্রাম জুরে শিশু -কিশোরদের মেলা যেন এক। পাঁচনের মেলা।
প্রাচীন বর্ষবরণের রীতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবেই জড়িত হালখাতা। চাষাবাদ বাবদ চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করে দিত দেনাদাররা। পহেলা বৈশাখ ভূমির মালিকরা তাদের প্রজা সাধারণের জন্য মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখতেন। যা পরবর্তিতে ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানীরা সারা বছরের বাকীর খাতা সমাপ্ত করার জন্য পহেলা বৈশাখের দিনে নতুন সাজে বসে দোকানে। গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুরু করেন নতুন বছরের ব্যবসার সূচনা। এ উৎসব গুলো সামাজিক রীতির অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে প্রতিটি বাঙালির ঘরে। এখনো গ্রাম গঞ্জে নববর্ষে হালখাতার হিড়িক পড়ে বাজার, বন্দর ও গঞ্জে। তবে ঢাকার তাঁতীবাজারে এখনো মহা ধুমধামে হালখাতা অনুষ্ঠান হয়।
বার ভূঁঈয়া প্রধান ঈশা খাঁর সোনারগাঁয় বৈশাখ উপলক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমী মেলা বসে। যা বউমেলা নামে পরিচিত। জয়রামপুর গ্রামে প্রায় ১০০ বছর ধরে পয়লা বৈশাখে শুরু হওয়া এই মেলা পাঁচ দিনব্যাপী চলে। প্রাচীন একটি বটবৃক্ষের নিচে এই মেলা বসে, যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর পুঁজো হিসেবে এখানে সমবেত হয়। বিশেষ করে কুমারী, নববধূ, এমনকি জননীরা পর্যন্ত তাঁদের মনস্কামনা পূরণের আশায় এই মেলায় এসে পূজা-অর্চনা করেন। সন্দেশ-মিষ্টি-ধান দূর্বার সঙ্গে মৌসুমী ফলমূল নিবেদন করে ভক্তকূল। বটবৃক্ষের তলে পাঁঠাবলির রেওয়াজও রয়েছে। বদলে যাচ্ছে পুরনো অর্চনার পালা।এখন কপোত-কপোতী শান্তির বার্তা পেতে চায় দেবীর কাছ থেকে। কাঙ্খিত মানুষের আশায় কাঙ্খিত মানসীরা প্রার্থনা করে। হয়ত সফল হয়েই তারা ঘরে ফিরে। বউমেলা ছাড়াও সোনারগাঁ থানার পেরাব গ্রামের পাশে আরেকটি মেলায় আয়োজন করা হয় যার নাম ঘোড়ামেলা। লোকমূখে প্রচলিত জামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নববর্ষের এই দিনে সকলকে প্রসাদ বিতরণ করতেন। জামিনী সাধক মারা গেলে ঐ স্থানে তার স্মৃতি স্তম্ব নির্মান করা হয়। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে তার স্মৃতি স্তম্বে¢ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। এই হলো ঘোড়ামেলা। বৈশাখে সারা দেশ ভাসে মেলায়।
ঝড় এলো, এলো ঝড়
আম পর, আম পর।
কাঁচা আম, পাঁকা আম
টক টক মিষ্টি
বৈশাখ নিয়ে আছে এমন অনেক ছড়া। সারা দেশের গ্রামে গঞ্জে মেলার মধ্য দিয়ে যে উৎসবের সূচনা হয়। জৈষ্ঠ মাসের ফলের ম ম গন্ধ্যে সেই উৎসব পূর্ণতা পায়। বাড়ি বাড়ি জামাই বরন আর জামাই সমাদরের ধুম চলে। প্রতিটি ঘর এক একটি মেলায় পরিনত হয়।
দেশব্যাপী নাম ধরে বলার উল্লেখ্য করার মতো আছে অনেক বিখ্যাত মেলা।
মাতাই পুখির/ চৈত্র সংক্রান্তির মেলা- দেবতা পুকুর, নুনছড়ির, খাগড়াছড়ি।
বৈশাখী মেলা – বলীখেলা- লালদিঘি মাঠ, চট্টগ্রাম।
বৈশাখী মেলা – বলীখেলা -সাতকানিয়ার, চট্টগ্রাম।
বৈশাখী মেলা – বলীখেলা-তৈলারদ্বীপ, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।
বৈশাখী মেলা – ডিসি সাহেবের বলীখেলা- ডিসি মাঠ কক্সবাজার।
বৈশাখী মেলা – রাণী’র প্রাসাধ, কালী মন্দির, ময়নামতি, বুড়িচং ,কুমিল্লা। বৈশাখ থেকে আরম্ভ হয়ে মাস ব্যাপী মেলা।
বৈশাখী মেলা -লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ের চূড়া, কুমিল্লা।
বৈশাখী মেলা/গডিয়া – কালিতারা বাজার, নোয়াখালী।
কুমারটেক (পালপাড়া), ঘোড়াশাল, পলাশ, নরসিংদী।
টেঙ্গরপাড়া, চরসিন্দুর ও পারুলিয়া কুমার পল্লী ,বরাব, জিনারদী, নরসিংদী।
গাজী, কালু মেলা – নিজসরাইল, সরাইল , ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।
চড়ক পূজা ও বৈশাখী মেলা – হালির হাওর, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ।
চড়ক পূজা ও বৈশাখী মেলা -ছয়হারা খোজারগাও, ফেনারবাঁক, সুনামগঞ্জ ।
বৈশাখ মেলা/জামাইমেলা – বাছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, রসুলপুর, টাঙ্গাইল। ১১, ১২ ও ১৩ বৈশাখ।
বৈশাখী মেলা – পাউলদিয়া বটতলা, সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ। ১বৈশাখ।
বৈশাখী মেলা পঞ্চবটির অশ্বথমূলে, নামার বাজার, সাভার। ১ বৈশাখ।
চড়ক মেলা – বেলতলা, কাপাসিয়া- সংক্রান্তি।
সংক্রান্তি -বৈশাখী তিনদিন – সিংজুরী, রাধাকান্তপুর, পেঁচারকান্দা-বালিয়াখোড়া, পয়লা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ, নালী বাজার , ঘিওর, মানিকগঞ্জ।
বৈশাখী মেলা-মাইলাঘী, তরা কালীগঙ্গা নদীর পাড়, পঞ্চ রাস্তা এলাকা, পুখুরিয়া স্বপ্নের মোড়, মানিকগঞ্জ।
পাগলা গাছের মেলা, হামছাদী ,বৈদ্যোরবাজার, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ। ৩১ বৈশাখ থেকে মাস।
চড়ক মেলা -ঠাকুরবাড়ি, কালিয়া, নড়াইল, ৩০ চৈত্র।
চড়কপূজার মেলা – শুড়িরডাঙ্গা সিদ্ধাশ্রম ও মহাশ্মশান, সুন্দলী, অভয়নগর, যশোর। ২৯ চৈত্র খেজুর ভাঙা, ৩০ চৈত্র। চড়কপূজা, পহেলা বৈশাখ বৈশাখী মেলা।
সতিমান ঠাকুরের মন্দির ও মেলা – বোচাগঞ্জের, দিনাজপুর
চৈত্র সংক্রান্তির মেলা-জম্বুলেশ্বর মন্ডবের মেলা শিবমন্দির-সাঁওতাল পাড়া,চন্ডিপুর, বিরামপুর মির্জাপুর, দিনাজপুর । সংক্রান্তি
বৈশাখী মেলা/গোপিনাথপুর মেলা/ঘোড়ার হাট – আক্কেলপুর, উপলক্ষে জয়পুরহাট –
বৈশাখী মেলা – নিমাইদীঘি, নন্দীগ্রাম/কাহালু, বগুড়া – চৈত্র সংক্রান্তি থেকে তিনদিন।
বৈশাখী মেলা – শিবগঞ্জ, মহাস্থানগড়, বগুড়া – একদিন এক রাত।
বৈশাখী মেলা – উত্তর শিহিপাশা, আগৈলঝাড়া, বরিশাল – সারা মাস।
বৈশাখী মেলা – দুরমুট, মেলান্দহ, জামালপুর – বৈশাখের প্রথম দিন থেকে মাস ব্যাপী।
জামাই মেলা/চৈত্রমেলা – গোপালপুর বাজার, ঘোড়াধাপ, জামালপুর। মাসব্যাপী
বৈশাখী মেলা – পোড়াবাড়ীয়া, নারান্দি,পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ। মাস ব্যাপী।
ফকির মেলা-মৌতলা, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা। সংক্রান্তি ও বৈশাখ।